0
মহিষের ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন সমস্যার কারণ ও প্রতিরোধ

Image result for congenital defect of buffaloঅনেক ব্রিডার ভাইয়েরা মহিষের প্রজনন করিয়ে থাকে।অনেকে সঠিক পদ্ধপ্তিতে ব্রিডিং করায় আবার অনেকে না জেনে শুধু দেখে দেখে ব্রিডিং করিয়ে থাকে।আজ আমরা লিখন যারা না জেনে রক্তের সম্পর্কের মহিয়াষের মধ্যে ব্রিডিং করে মহিষের জাত নষ্ট করে ফেলছে।চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই মহিষের ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন সমস্যার কারণ ও প্রতিরোধ



মহিষের ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজননঃ

রক্তের সম্পর্কের মহিষের মধ্যে প্রজনন বা মিলনের ফলে যে বাচ্চা জন্ম নিচ্ছে সেটাই মহিষের ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন।ইনব্রিডিং হচ্ছে বংশ গতির দৃষ্টিকোণ থেকে নিকট সম্পর্কযুক্ত পিতামাতা হহতে প্রজন্মের সৃষ্টি । যেমন-

ক) ভাই*বোন =ইনব্রিড
খ)মা*ছেলে=ইনব্রিড
গ)বাবা*মেয়ে=ইনব্রিড
এভাবে বংশ পরমপ্রায় যদি হতে থাকে সেটাই মহিষের ইনব্রিডিং।


মহিষের ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন এর ক্ষতিকর দিকঃ

Image result for congenital defect of buffaloØ  উন্নত জাতের মহিষ থেকে অনুন্নত জাতের মহিষে পরিণত হওয়া।
Ø  শারিরিক বৃদ্ধির হার কম এ দুর্বল প্রকৃতির হওয়া।
Ø  আকার ছোট হয়ে আসা।
Ø  মাংস ও দুধ বছরের পর আস্তে আস্তে কমে যাওয়া।
Ø  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
Ø  বশগতি রোগের সম্ভাবনা অত্যধিক।
Ø  জন্মগতি সমস্যা ও শারিরীক বিকলাঙ্গতা হয়ে বাচ্চা জন্ম গ্রহন করে।
Ø  বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত বেশি হওয়া।
Ø  বাচ্চা মৃত্যুহার বেশি ।
Ø  কম ওজনের বাচ্চা হওয়া।
Ø  ষাঁড়ের শুক্রাণুর উর্বরতা কম হওয়া।
Ø  গর্ভধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
Ø  বন্ধ্যাত্ব হয়ে যাওয়া।
Ø  বংশধরদের মধ্যে অবাঞ্চিত বৈশিষ্ট বৃদ্ধি পাওয়া।
Ø  প্রতি জেনারশনেই ২৫% কৌলিক গুনাগুণ হ্রাস পাওয়া।

মহিষের ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন এর কারণঃ
ইনব্রডিং সম্পর্কিত সঠিক জ্ঞানের অভাবেঃ
Ø  রক্তের সম্পর্কের চেলা মহিষ ও মাদী মহিষের মধ্যে বারবার প্রজনন ঘটানো।
Ø  একই বাথানের মধ্যে চেলা মহিষ পরিবর্তন না করে বারবার প্রজনন করানো।
Ø  একই ষাঁড় দিয়ে একই গাভীকে বারবার প্রজনন করানো।

মহিষের ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন রোধে করণীয়ঃ

Ø  রক্তের সম্পর্কের মহিষের মধ্যে প্রজনন না করানো বা পাল না দেয়া।
Ø  বাথান থেকে নিজস্ব চেলা মহিষ সরিয়ে অন্য বাথান থেকে উন্নত জাতের চেলা মহিষ আমদানি করা।
Ø  একই ষাঁড় দিয়ে বারবার প্রজনন না করানো।
Ø  নিজের বাথানের চেলা মহিষ দিয়ে বছরের পর বছর প্রজনন না করানো।
Ø  একই প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ষাঁড় মহিষের সিমেন দিয়ে বারবার প্রজনন না করানো।
Ø  সম্ভব হলে প্রতিবার ভিব্ব ভিন্ন জাতের মহিষ দিয়ে প্রজনন করানো।
Ø  মাদী মহিষের প্রজনের  রেকর্ড সংগ্রহে রাখা এবং পরবর্তি প্রজননের সময় রেকর্ড চেক করা।






Post a Comment

 
Top