1

টার্কির ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন সমস্যার কারণ ও প্রতিরোধ

মোঃ মনিরুল ইসলামঃ অনেক ব্রিডার ভাইয়েরা টার্কির প্রজনন করিয়ে থাকে।অনেকে সঠিক পদ্ধপ্তিতে ব্রিডিং করায় আবার অনেকে না জেনে শুধু দেখে দেখে ব্রিডিং করিয়ে থাকে।আজ আমরা লিখন যারা না জেনে রক্তের সম্পর্কের টার্কির মধ্যে ব্রিডিং করে টার্কির জাত নষ্ট করে ফেলছে।চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই টার্কির ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন সমস্যার কারণ ও প্রতিরোধ।

টার্কির ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজননঃ 

রক্তের সম্পর্কের টার্কির মধ্যে প্রজনন বা মিলনের ফলে যে বাচ্চা জন্ম নিচ্ছে সেটাই টার্কির ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন।ইনব্রিডিং হচ্ছে বংশ গতির দৃষ্টিকোণ থেকে নিকট সম্পর্কযুক্ত পিতামাতা হতে প্রজন্মের সৃষ্টি । যেমন- ক) ভাই*বোন =ইনব্রিড খ)মা*ছেলে=ইনব্রিড গ)বাবা*মেয়ে=ইনব্রিড এভাবে বংশ পরমপরায় যদি হতে থাকে সেটাই টার্কির ইনব্রিডিং।


টার্কির ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন এর ক্ষতিকর দিকঃ


  •  উন্নত জাতের টার্কি থেকে অনুন্নত জাতের টার্কিতে পরিণত হওয়া।
  •  শারিরিক বৃদ্ধির হার কম এ দুর্বল প্রকৃতির হওয়া।
  •  আকার ছোট হয়ে আসা।
  •  মাংস ও ডিম বছরের পর আস্তে আস্তে কমে যাওয়া।
  •  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
  •  বশগতি রোগের সম্ভাবনা অত্যধিক।
  •  জন্মগতি সমস্যা ও শারিরীক বিকলাঙ্গতা হয়ে বাচ্চা জন্ম গ্রহন করে।
  •  বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত বেশি হওয়া।
  •  বাচ্চা মৃত্যুহার বেশি ।
  •  কম ওজনের বাচ্চা হওয়া। 
  •  টম এর শুক্রাণুর উর্বরতা কম হওয়া।
  •  গর্ভধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া। 
  •  বন্ধ্যাত্ব হয়ে যাওয়া।
  •  বংশধরদের মধ্যে অবাঞ্চিত বৈশিষ্ট বৃদ্ধি পাওয়া। 
  •  প্রতি জেনারশনেই ২৫% কৌলিক গুনাগুণ হ্রাস পাওয়া।



 টার্কির ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন এর কারণঃ


ইনব্রডিং সম্পর্কিত সঠিক জ্ঞানের অভাবেঃ

  • রক্তের সম্পর্কের পুরুষ টার্কি ও মাদী টার্কির মধ্যে বারবার প্রজনন ঘটানো। 

  • একই খামারের মধ্যে পুরুষ টার্কি পরিবর্তন না করে বারবার প্রজনন করানো। 
  • একই টম দিয়ে একই মাদী টার্কিকে বারবার প্রজনন করানো।


 টার্কির ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন রোধে করণীয়ঃ 



  • রক্তের সম্পর্কের টার্কির মধ্যে প্রজনন না করানো দেয়া। 
  • খামার থেকে নিজস্ব পুরুষ টার্কি সরিয়ে অন্য খামার থেকে উন্নত জাতের পুরুষ টার্কি আমদানি করা।
  • একই টম দিয়ে বারবার প্রজনন না করানো। 
  • নিজের খামারের পুরুষ টার্কি দিয়ে বছরের পর বছর প্রজনন না করানো। 
  • একই প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির টম টার্কির সিমেন দিয়ে বারবার প্রজনন না করানো। 
  • সম্ভব হলে প্রতিবার ভিন্ন ভিন্ন জাতের টার্কি দিয়ে প্রজনন করানো।
  • মাদী টার্কির প্রজনের স রেকর্ড সংগ্রহে রাখা এবং পরবর্তি প্রজননের সময় রেকর্ড চেক করা।
Next
This is the most recent post.
Previous
Older Post

Post a Comment

 
Top