এক উদ্যমী যুবকের সঠিক
চিন্তাচেতনার প্রয়োগ দেশের
পোল্ট্রি শিল্পে সম্ভাবনার দ্বার খুলে
দিয়েছে। ‘তুষ’ পদ্ধতির উপর ভিত্তি
করে প্রথমবারের মতো সিলেটে
কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা
উৎপাদন শুরু হয়েছে। সিলেটের
বিশ্বনাথ উপজেলার পোল্ট্রি
ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম উদ্ভাবিত
ডিজিটাল পদ্ধতির ‘শেটার’ ও ‘হ্যাচার’
নামের দু’টি মেশিন দিয়ে দেশে
ক্রমবর্ধমান এই শিল্পে যোগ করেছে নতুন
মাত্রার। আর্থিক সাশ্রয়তা এবং
একইসাথে দ্রুত উৎপাদনক্ষমতার ফলে
মেশিনগুলোর ব্যবহার প্রশংসিত হচ্ছে
দেশব্যাপী।
বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি
বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসার পাশে নিজ
বাড়িতে গড়ে উঠেছে শামসুলের
পাখির খামার। সাড়ে ৯শত স্কয়ার ফিট
জায়গা জুড়ে বাড়ীর ছাদে কোয়েল
পাখির খামার করেছেন তিনি।
এখানেই পাখি উৎপাদন ও লালন পালন
করা হয়। ছাদের এক পাশের ঘরে রাখা
হয়েছে বিক্রির উপযুক্ত পাখি। আর
অন্যপাশে শেটারে ১৫ হাজার ডিম
‘তা’ দেয়া হচ্ছে। পাশেই রয়েছে সদ্য
উৎপাদিত ৫ হাজার কোয়েল ছানার
ব্রোডিং।
শামসুল ইসলাম জানান- প্রথমে
শেটারে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ১৫
হাজার ডিম ১৪ দিন ‘তা’ দেয়া হয়।
এরপর হ্যাচারে আরো ২দিন রাখার পর
বাচ্চা ফোটে। পরে ব্রোডিং এ
স্থানান্তর করা হয় কোয়েল ছানাদের।
এভাবে মাসে দু’বারে ৩০ হাজার
বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। বতর্মানে তার
খামারে ১৭০০ পাখি ডিম দিচ্ছে।
প্রতিমাসে সিলেটের বিভিন্ন
বাজারে ১০ হাজার পাখি বিক্রি
করছেন তিনি। যার বাজার মূল্য ২ লক্ষ
৫০ হাজার টাকা।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে
ফিরে পোল্ট্রি বিষয়ে সিলেট যুব
উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাসের
প্রশিক্ষ ণ নিয়ে কোয়েল পালন শুরু
করেন শামসুল । ৫০ হাজার টাকা পুঁজি
নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে
২০০ পাখি এনে খামার করেন তিনি।
পর্যায়ক্রমে গবেষণার মাধ্যমে
প্রশিক্ষণে শেখা ‘তুষ’ প্রদ্ধতির উপর
ভিত্তি করে নিজস্ব ডিজাইনে একটি
শেটার ও একটি হ্যাচার উদ্ভাবন করেন।
যা থেকে মাসে ৩০ হাজার কোয়েল
উৎপাদন সম্ভব। নতুন যন্ত্র উদ্ভাবনের
মাধ্যমে কাজের প্রতি যত্নশীল শামসুল
সাফল্যের শিখরে পৌছেন।
শামসুল তার উদ্ভাবিত দুটি মেশিন
পোলট্রি শিল্পের প্রসার ও দেশের
অর্থনৈতিক খাতের প্রসারে ভুমিকা
রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দুটি মেশিন এর দাম কত? ঢাকাতে পাওয়া যাবে কিনা??01912620244 এ জানালে উপকৃত হব।
ReplyDelete