ভাণ্ডারিয়ার কলেজ মোড় এলাকার
শিক্ষিত বেকার মোঃ মোস্তফা শরীফ
কোয়েল পাখির খামার করে এখন
স্বাবলম্বী। দুই বছর আগে নেত্রকোনা
বেড়াতে গিয়ে ওই এলাকায় তিনি
কোয়েল পাখির খামার দেখে উদ্বুদ্ধ
হন। নেত্রকোনা থেকে ডিম সংগ্রহ
করে কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চা ফুটিয়ে
খামারটি শুরু করেন। মোস্তফার
কোয়েল খামারে এখন দুই শতাধিক
কোয়েল পাখি রয়েছে।
ডিম ফুটিয়ে কোয়েল ছানা লালন-
পালন করে পূর্ণাঙ্গ কোয়েল পাখি
তিনি বাজারজাত করে আসছেন। তার
খামারে উত্পাদিত কোয়েল পাখি
এলাকায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কোয়েল পাখি পালন করে মোস্তফা
একদিকে লাভবান হচ্ছেন আর অপরদিকে
অন্য খামারিদের পথ দেখাচ্ছেন।
কোয়েল খামারি মোস্তফা শরীফ
জানান, কোয়েল পাখি বছরে প্রায়
তিনশ’ ডিম দেয়। প্রতি ডিমের ওজন ১৫
থেকে ২০ গ্রাম। ২ মাস বয়স থেকেই
কোয়েল ডিম দিতে শুরু করে। সর্বোচ্চ
আড়াই বছর ডিম দেয়। কোয়েল পাখি
লালন পালনে খরচও কম। তিনটি মুরগির
ডিমে যে পরিমাণ ক্যালরি, একটি
কোয়েল পাখির ডিমে তার সমান
ক্যালরি।
সাধারণ ডিমের চেয়ে কোয়েল
পাখির ডিমে তিনগুণ বেশি ক্যালরি।
তাছাড়া কোয়েল পাখির মাংস খুবই
সুস্বাদু বলে দিন দিন এর চাহিদা
বাড়ছে। অনেকে সৌখিন পাখি বলে
শখ করে কোয়েল পাখি পালন করছেন।
মোস্তফার খামারে প্রতিটি ডিম
বিক্রি হয় ৩ টাকায়। এছাড়া ২ সপ্তাহ
বয়েসি এক জোড়া বাচ্চা কোয়েল
বিক্রি হয় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। এক
জোড়া বড় কোয়েল বিক্রি হয় ২০০
থেকে ২৫০ টাকায়। কৃত্রিম উপায়ে
তাপ ও তুষ পদ্ধতিতে ১৬ থেকে ১৭
দিনের মধ্যে ডিম থেকে কোয়েল
ছানা বের হয়।
১৯৯৫ সালে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের
ঝালকাঠি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে
হাঁস-মুরগি পশু পালনের ওপর প্রশিক্ষণ
নেন মোস্তফা। সে অভিজ্ঞতা কাজে
লাগিয়ে তিনি এখন সফল কোয়েলের
সফল খামারি। এ খামারের আয় থেকে
তার চার সদস্যের পরিবার স্বাচ্ছন্দ্যে
চলছে।
Post a Comment