কোয়েল পাখির খামার করে
ভাগ্য বদলালো ঝালকাঠির
কামাল
কোয়েল পাখির খামার করে ভাগ্য বদল
হলো ঝালকাঠি শহরের বেকার যুবক
কামালের। কোয়েল পাখি বিক্রি
করে কামাল এখন স্বাবলম্বী।
ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টির বাসিন্দা
মো. কামাল খলিফা আমার দেশকে
বলেন, তিনি ৯ মাস আগে খুলনা থেকে
৫শ’ কোয়েল পাখির ডিম কিনে
আনেন। পরে কৃত্রিম উপায়ে তার
নিজস্ব ইনকিউবেটর যন্ত্রের সাহায্যে
ওই ৫শ’ ডিমে ২৮টি বাচ্চা ফোটান।
২৮টি বাচ্চা থেকে এখন তার
খামারে ৫শ’ প্যারেন্টস কোয়েল
পাখি রয়েছে। এছাড়া ৯ মাসে
তিনি প্রায় ১০ হাজার কোয়েল পাখি
বিক্রি করেছেন। খামার করতে তার
প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হলেও এরই মধ্যে
তার প্রায় ৯ লাখ টাকার পাখি
বিক্রি করা হয়ে গেছে। কামালের
খামার থেকে কোয়েল পাখির বাচ্চা
বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিটি ৪০ টাকা
এবং বড় পাখিগুলো হচ্ছে ১শ’ টাকা
দরে। নিজের বাড়িতেই খামার করায়
কামালের খরচ অনেকটা সাশ্রয়
হয়েছে। কামাল জানান, ৩টি মুরগির
ডিমে যে প্রোটিন আছে, কোয়েল
পাখির একটি ডিমেই তা রয়েছে।
কামাল ১শ’ কোয়েল পাখির ডিম
বিক্রি করছেন ২৪০ টাকা দরে।
কোয়েল পাখির খাবার প্রসঙ্গে
তিনি জানান, ৫শ’ পাখির জন্য
প্রতিদিন ৭ কেজি রেডি ফিড
প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন খাবার বাবদ খরচ
হয় ২২০ টাকা।
ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কে কামাল
বলেন, তিনি চট্টগ্রাম থেকে তিত
মুরগির ডিম এনে তিত মুরগির খামার
করার পরিকল্পনা করছেন। শিগগিরই
তিনি এ খামারের কাজ শুরু করবেন।
এদিকে কামাল খলিফা কোয়েল
পাখিসহ বিভিন্ন পশু-পাখির রোগ
প্রতিরোধের ওপরও ডেনমার্কের
সহযোগিতায় পরিচালিত একটি
সংস্থায় ঢাকার সাভারে প্রশিক্ষণ
নিয়েছেন। কামালের খামারের
সফলতায় শহরের অনেক যুবকই এখন কোয়েল
চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তার মতে,
যুবকদের বেকার জীবন হলো অভিশপ্ত।
তাই তিনি যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার
জন্য শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে তার
মতো উদ্যমী ও গঠনমূলক কাজ করার আহ্বান
জানান।
আপনার কাছে কি বাচ্চা পাওয়া যাবে
ReplyDelete