0
কোয়েল ফার্ম বিডিঃ

বিভিন্ন গৃহপালিত পাখির মধ্যে
সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রজাতি। কোয়েল
পালনে কবুতরের মতো নির্দিষ্ট ঘর
যেমন প্রয়োজন হয় না আবার মুরগির মতো
ব্যাপক আকারের খামারেরও প্রয়োজন
নেই। তাই কোয়েল পালন আজকাল
অনেক ব্যাপক হয়ে উঠেছে।
কোয়েলের আদি জন্মস্থান জাপানে।
সর্বপ্রথম জাপানী বিজ্ঞানীরা
কোয়েলকে গৃহপালিত পাখি
হিসেবে পোষ মানানোর উপায়
উদ্ভাবন করেছেন। পরবর্তীতে জাপান
সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোয়েলকে
একটি লাভজনক পোলট্টি উপাদান
হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কোয়েল পালন করার জন্য অতিরিক্ত বা
বাহুল্য কোন খরচ হয় না। কোয়েলকে
সহজেই পোষ মানানো যায়। বাড়ির
যেকোন কোণ বা আঙিনা অথবা
বাড়ির ছাদ ইত্যাদি জায়গাতেও
কোয়েল পালন করা যায়। এই কারণে,
শহরে কী গ্রামে অনেক স্থানেই
কোয়েল পালন ব্যাপক ও সহজতর হয়েছে।
গৃহপালিত পাখির মধ্যে অতি ক্ষুদ্র এই
পাখির আয়তন খুব বেশি নয়। একটি মুরগি
পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে
১০টি কোয়েল পালন করা যায়।
বিষেজ্ঞদের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে
বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল
পালনের জন্য সর্বাধিক উপযোগি। এই
কারণে, বিভিন্ন হাস মুরগির
খামারেও ইদানিং কোয়েল পালন
ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে।
দেশের পুষ্টি মিটিয়ে ইদানিং
কোয়েলের মাংস বিদেশেও রপ্তানী
হচ্ছে।
কোয়েলের মাংস ও ডিম খুবই সুস্বাদু।
এদের মাংস ও ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ
আমিষ, প্রোটিন ও স্নেজাতীয় পদার্থ
বিদ্যমান। বিশেষ করে কোয়েলের
একটি ক্ষুদ্র ডিমে যে পরিমাণ প্রেটিন
রয়েছে একটি বড়ো আকারের মুরগির
ডিমেও প্রায় সেই পরিমাণ প্রোটিন
বিদ্যান । অথচ, দামের দিক থেকে
একটি মুরগির ডিমের বিনিময়ে চারটি
কোয়েলের ডিম পাওয়া যায়। এই
কারণে, আমাদের মতো গরীব দেশের
নিজস্ব পুষ্টির চাহিদা মেটাতে
কোয়েল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে
পারে।
আমাদের বাংলাদেশে কোয়েল
পাখি এখনও নবাগত সম্প্রদায়ের
তালিকায় পড়ে। তাই এই পাখি
সম্পর্কে একটা অন্যরকম ধারনা আমাদের
মধ্যে বিদ্যমান। আমরা অনেকেই
কোয়েলের ডিম এবং মাংসের
পুষ্টিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানি না।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাদা কালোর ফুটকি দেয়া
ডিম এবং একই রঙ্গের পাখি সম্পর্কে
আমাদের অনেক ভূল ধারণা রয়েছে।
অনেকে ছোট ডিম বলে এগুলোকে
কচ্ছপের ডিমের সাথে তুলনা করে
থাকেন। ফলে এগুলো খেতে তাদের
রুচি হয় না। কিন্তু বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পার্থক্যগত দিক বিবেচনা করলে একটি
কোয়েলের ডিমে সমপরিমাণ একটি
মুরগির ডিমের মতো পুষ্টিমান
বিদ্যামন। তবে আশার কথা, আমাদের
দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে ইদানিং
কোয়েল পালনে উৎসাহী হয়ে
উঠেছেন অনেকেই। ঢাকা শহরের
বঙ্গবাজার এলাকার পোল্ট্রি
মার্কেটে কোয়েলের ডিম, বাচ্চা
এবং পরিণত বয়সের কোয়েল কিনতে
পাওয়া যায়। এখান থেকে এগুলো
সংগ্রহ করে ভাড়া বাসায় স্বল্প
পরিসরেও কোয়েল পালন করা সম্ভব।
ইদানিং আমাদের দেশের বিভিন্
অঞ্চলে হাঁস মুরগির খামারের
পাশাপাশি কোয়েলের খামার
তৈরী হয়েছে এবং প্রতিদিন হচ্ছে।
অনেকে হাস মুরগির খামার না করেও
শুধু কোয়েলের খামার করে
অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এর
মাংস এবং ডিম বিদেশে রপ্তানী
করে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
Next
Newer Post
Previous
This is the last post.

Post a Comment

 
Top