0
রোগ বালাইঃ-

কোয়েলের রোগবালাই নেই বললেই
চলে। সাধারণত কোনো ভ্যাকসিন
অথবা কৃমিনাশক ঔষধ দেয়া হয় না। তবে
বাচ্চা ফুটার প্রথম ২ সপ্তাহ বেশ
সংকটপূর্ণ। এ সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে
কোয়েলের বাচ্চার যত্ন নিতে হয়।
বাচ্চা অবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে
কোয়েলের বাচ্চা মারা যায়। তবে,
বয়স্ক কোয়েলের মৃত্যুহার খুবই কম।
কোয়েল পালন উৎপাদনের দিক থেকে
অধিক লাভজনক। অন্যান্য পোল্ট্রির
তুলনায় কোয়েলের মাংস এবং ডিম
গুণগতভাবে শ্রেষ্ঠ। কোয়েলের ডিমে
কোলেস্টরলের পরিমাণ কম এবং আমিষ
বেশি। একটি মুরগীর পরিবর্তে ৮ টি
কোয়েল পালন করা যায়। অল্প জায়গায়
বাংলাদেশের নাতিশীতোষ্ণ
আবহাওয়ায় অল্প খরচে পারিবারিক
পর্যায়ে অথবা বাণিজ্যিকভিত্তিতে
কোয়েল পালন দেশে পুষ্টি ঘাটতি
দূরীকরণে এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে
গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

★ব্রুডার নিউমোনিয়াঃ
আবহাওয়া
পরিবর্তনের সাথে সাথে বাচ্চা
কোয়েলের মৃত্যু হতে পারে, যদি না
ব্রুডারে থাকাকালীন তাপমাত্রা
স্বাভাবিক রাখা যায়৷ তাই ব্রুডিং
করার সময় অর্থাত প্রথম দুই সপ্তাহ বাচ্চা
কোয়েলকে নজরে রাখতে হবে৷ কারণ ঐ
সময় আসপারজিলাস ফিউমিগেটাস
নামক ছত্রাকের প্রভাবে এই ব্রুডার
নিউমোনিয়া হয়৷
★রোগের লক্ষণঃ
বাচ্চাপাখী ঝিমিয়ে
পড়ে, দুর্বল হয়ে পড়ে, খাওয়া দাওয়াবন্ধ
হয়ে যায়৷ জোরে জোরে নিশ্বাস
নিতে থাকে৷ চোখ লাল হয়ে যায়,
চোখ থেকে রস বেরোতে থাকে৷ এই
রোগে মৃত্যুর হার শতকরা ২ - ৩ ভাগ৷
কিন্তু আক্রান্তের হার শতকরা ৫০ ভাগ৷

★চিকিত্সাঃ ২ গ্রাম ক্যালসিয়াম
প্রোপিওনেট ১০০ কেজি খাবারের
সাথে মেশাতে হবে৷ আন্টিবায়টিক
খাওয়াতে হবে৷ পাশাপাশি
প্রাণীচিকিত্সকের পরামর্শ নিতে
হবে৷

★কোয়েল ডিজিজঃ
কোয়েল ডিজিজের
আর এক নাম আলসারেটিভ
এনটারাইটিস৷ এটি কোয়েলের একটি
গুরুত্বপূর্ণ রোগ৷
রোগের লক্ষণ পাতলা পায়খানা, দুর্বল
হয়ে পড়ে, খিচুনি হয়, ক্ষুদ্রান্ত্রে ও
শিকামে ঘা হয়ে যায়৷

★চিকিত্সাঃ আন্টিবায়টিক খাওয়াতে
হবে৷ পাখী খুব বেশী মারা গেলে
স্থানীয় চিকিত্সকের কাছে পরামর্শ
অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে

Post a Comment

 
Top